বিবৃতি: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শিবিরের আহ্বান
‘জনগনের ঘাতক নয়, সেবক হিসেবে ভূমিকা রাখুন’
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি জনগনের সেবক হিসেবে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. দেলাওয়ার হোসেন ও সেক্রেটারী জেনারেল আবদুল জববার বলেন, লাখো প্রাণের বিনিময়ে আমরা আজকের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা যারা ৭১ পরবর্তী প্রজন্ম, যারা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ দেখিনি, শহীদী রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশকে আমরা হৃদয় দিয়ে ভালোবাসি। আমাদের কাছে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ত্ব, গণতন্ত্র ও ৯০ শতাংশ মানুষের ধর্ম ইসলাম সম্মান ও মর্যাদার প্রতিক। আমরা দেশের উন্নতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গকে প্রাতিষ্ঠানিকতার মর্যাদায় সুশোভিত দেখতে চাই। আমরা চাই আমাদের রক্তে অর্জিত গণতন্ত্র, সংবিধান ও আইনের শাসনের সুপ্রতিষ্ঠা। কিন্তু হতাশ হই, যখন দেখি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো পেশাদারিত্বের পরিবর্তে সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গ ভেংগে পড়েছে। আমরা জনগনের বন্ধু পুলিশকে যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখেছি তাতে আমাদের বিবেক দংশিত হচ্ছে।
পুলিশের উদ্দেশ্যে শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের সর্বত্র আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং জনগনের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মহান দায়িত্বে আপনারা নিয়োজিত রয়েছেন। আপনারা দেশের মানুষের নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকায় রয়েছেন। দেশের রাজনৈতিক দুবৃত্তায়নের এবং জনগনের উপর আরোপিত সকল প্রকার জুলুম নির্যাতনের আপনারাই জীবন্ত স্বাক্ষী। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসাবে দেশ পরিচলনার দায়িত্বে আসীন ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন অনিয়মের আপনারাই সবচেয়ে বড় প্রত্যক্ষদর্শী। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, বর্তমান সরকার ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরে বিতর্কিত এক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস’কে সংবিধানের মূলনীতি থেকে বাদ দিয়েছে। মুসলিম বিশ্বের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের ধারা বিলুপ্ত করে বাংলাদেশকে মুসলিম দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার ব্যবস্থা করেছে। সরকার জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় না নিয়ে টিপাইমুখ, ট্রানজিটের মত বিষয়ে পার্শ্ববর্তী দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছে। হলমার্ক, ডেসটিনি, কুইক রেন্টল, রেলওয়ে কেলেঙ্কারীর মাধ্যমে জনগনের সম্পদ সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা কুক্ষিগত করেছে। পদ্মাসেতুর দূর্নীতির অভিযোগ ও তার তদন্ত নিয়ে টালবাহানা করে বিশ্বে দেশের সম্মানকে সরকার ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে।
শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কল্পকাহিনী রচনা করে সরকার বিচারের নামে প্রহসন চালিয়ে যাচ্ছে। স্কাইপি কেলেঙ্কারীর সরকারের মিথ্যাচার ও প্রহসনের বিচার সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ সালে পিলখানার বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা এ দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রকম্পিত করেছিল। সুপরিকল্পিতভাবে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ঘটিয়ে বিডিআর ও স্বাধীনতার অতন্ত্র প্রহরী সেনাবাহিনীর ভীত নড়বড়ে করে দেয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে। সরকার এ ঘটনার কোন সুষ্ঠু তদন্ত করেনি। যার মাধ্যমে বোঝা যায়, এই নৃশংশ ও দেশবিরোধী ঘটনার পেছনে সরকারের হাত ছিল।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের এতসব ব্যর্থতা ও অপশাসনের পরও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে কোন প্রতিবাদ করতে দেয়া হচ্ছে না। বিরোধী দলগুলো ও জনগনের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচীতে হামলা, লাঠিচার্জ, পিপার স্প্রে ও গুলি বর্ষণে সরকার পুলিশকে বাধ্য করছে। এভাবে বাধ্য করার মাধ্যমে সরকার পুলিশকে জনগনের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেয়ার ঘৃণ্য অপচেষ্টায় লিপ্ত। পিপার স্প্রে’র ফলে কয়েক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু ও পুলিশের বেপরোয়া গুলিতে ছাত্রশিবিরের ১৫ জন নেতাকর্মীর নিহত হওয়া সরকারের ঘৃণ্য অপচেষ্টাকেই প্রমানিত করে। পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাথে জনগনের যে শত্রুতার সূচনা করা হয়েছে তাতে সচেতন দেশবাসী উদ্বিগ্ন। অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেছেন, ‘জনগণের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা থাকলে যা হয় এটা তাই। (১৬ই জানুয়ারীর জাতীয় পত্রিকা)’। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘পুলিশকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হাতিয়ার হিসাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে (৩১ জানুয়ারী জাতীয় পত্রিকা)’।
নেতৃবৃন্দ পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, বিদ্যমান এই পরিস্থিতিতে আপনাদের প্রতি আমাদের আহ্বান, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করুন। কুরআনের অসংখ্য আয়াতে উল্লেখ রয়েছে, ‘সৎ কাজের আদেশ আর অসৎ কাজের নিষেধ’, যা ইসলামী রাষ্ট্রে প্রতিটি ব্যাক্তির প্রধান দায়িত্ব। ‘দুষ্টের দমন, শিষ্টের লালন’ কুরআনের এই বক্তব্যেরই সমার্থক। ছাত্রশিবির এদেশের অগনিত পথভ্রষ্ট যুবককে ওই সৎকাজের আদেশ আর অসৎকাজের নিষেধের পথেই আহবান করছে। বর্তমান সরকারের জুলুম নির্যাতন, অগণতান্ত্রিক আচরণ, দূর্ণীতি, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র আর ইসলামী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আদালতে ইতিহাসের জঘন্যতম মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রশিবিরের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সহায়তা করার মাধ্যমে শিষ্টের লালন করুন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কোন ক্ষমতাসীনের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন পুলিশের দায়িত্ব নয়। বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক কর্মসূচীতে গুলিবর্ষণ করে মানুষ হত্যা করা কোনভাবেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব হতে পারে না। যে কোন মিছিল-সমাবেশের পর নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়া পুলিশের দায়িত্বের অন্তর্ভূক্ত নয়। পুলিশের গুলিতে দিনাজপুরে দশম শ্রেণীর ছাত্র মুজাহিদ নিহত হয়েছে। এর আগে জয়পুরহাটে তরুণ বদিউজ্জামানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বগুড়ায় পুলিশের বেপরোয়া গুলিতে মামুন প্রাণ হারিয়েছে। চট্রগ্রামে পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছেন শিবির নেতা আবু তাহের ইমরান, আবিদ ও শফিকুল। কক্সবাজারেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।
পুলিশের উদ্দেশ্যে শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রশিবিরের নয় জন নেতাকর্মী চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছেন। সারাদেশে গুলিবিদ্ধ নেতাকর্মীর সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। পায়ে, পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে অনেক নেতাকর্মী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। আপনাদের কিছু অতি উৎসাহী সদস্যদের বর্বর আচরণ দেশবাসীকে ক্ষুব্ধ করেছে। চট্টগ্রামে ওসি প্রদীপ কুমার সাহা গায়ে পিস্তুল ঠেকিয়ে শিবির কর্মীকে গুলি করেছেন (আমারদেশ, ০৬-০২-২০১৩)। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শিল্পাঞ্চল থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে শিবির নেতা রিয়াদ ও জাকিরের পায়ে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করা হয়েছে। এর আগে গত ৬ জানুয়ারি পুলিশ নারায়নগঞ্জে পাঁচ শিবির নেতাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এরপর জনসম্মুখেই শিবির নেতাদের পায়ে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে পুলিশ। পুলিশে কর্মরত ভাইদের কাছে আমাদের প্রশ্ন, এই বর্বর আচরণকে আপনারা কীভাবে নিবেন? এতে কি পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা বেড়েছে? এধরনের ঘটনা কি দেশের বিবেকমান মানুষকে আহত করেনি? যে কিশোর, তরুণ শিবির নেতাকর্মীরা গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারালো, এরা কি আপনাদের সন্তান বা ছোট ভাই তুল্য নয়? আপনাদের প্রতি আমাদের আহ্বান, জনগনের ঘাতক নয়, সেবক হিসেবেই ভূমিকা রাখুন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা পুলিশকে জনগণের বন্ধু মনে করি ও করতে চাই। পুলিশের কাজে কোনরূপ বাধা দেয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়। পুলিশ আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে বাধা না দিলে পুলিশের সাথে আমাদের কোন সংঘর্ষ হয়নি। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, খাগড়াছড়িতে কিছু মিছিল-সমাবেশ পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে বাধা দেয়নি। ফলে ছাত্রশিবিরের সাথে সে সময় কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। যে সকল স্থানে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচীতে অগণতান্ত্রিকভাবে বাধা দেয়া হয়েছে, সেখানেই বিক্ষুব্ধ কর্মীদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের কষ্ট হয়েছে। বিক্ষুব্ধ কর্মীদের বেষ্টনী থেকে নিরীহ পুলিশ ভাইকে মুক্ত করে নিরাপদে পাঠানোর দৃশ্যও গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। আমাদের দায়িত্বশীল ভাইয়েরা রাজপথে আন্দোলনের সময় এ ব্যাপারে সতর্ক ও সজাগ দৃষ্টি রেখে আসছেন। সারাদেশের যেসব স্থানে পুলিশ কিংবা অন্যকোন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে কোথাও ছাত্রশিবিরের কর্মীদেরকে আগ্নেয়াস্ত্র কিংবা রাম দা, চাপাতির মতো ভয়ঙ্কর কোন অস্ত্রসহ দেখা যায় নি। ছাত্রলীগের বন্ধুদের এমন চেহারায় দেখা গেলেও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের ব্যাপারে গণমাধ্যমসমূহের ভিডিও কিংবা স্থির চিত্রে এমন কোন প্রমাণ নেই। এটাই প্রমাণ করে, ছাত্রশিবিরের প্রত্যেক কর্মী পুলিশ ভাইদের বন্ধু মনে করে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনে জনজীবন আজ অতিষ্ট। আল্লাহর দ্বীন প্রচারের কাজ করে অধ্যাপক গোলাম আযম, মাওলানা নিজামী, আল্লামা সাঈদীরা এ দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে তাওহীদের বীজ বপন করেছেন। জামায়াত নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময় সরকারের মন্ত্রণালয় ও সংসদ সদস্য হিসাবে সচিবালয় থেকে সংসদ পর্যন্ত মানুষের মাঝে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক হিসেবে নেতৃত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা যেদেশে দূর্নীতির দায়ে জনরোশের শিকার, সেদেশেই এই দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ অভিযোগবিহীনভাবে দূর্ণীতিমুক্ত থেকে মন্ত্রণালয় পরিচালনা করে পৃথিবীর বুকে নজির সৃষ্টি করেছেন। আজ এই সৎ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধেই ইতিহাসের জঘন্যতম মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিতর্কিত রাজনৈতিক ট্রাইব্যুনালে প্রহসনের বিচার চালানো হচ্ছে। আমরা চাই সরকারের এই অগণতান্ত্রিক আচরণের অবসান। ইসলাম ও গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থা রক্ষার জন্যই আমাদের এ শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক আন্দোলন। সুতরাং এ আন্দোলন গুলি করে বন্ধ করা যাবে না। পুলিশ জনগনের সেবক। পুলিশের ভূমিকা যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তাহলে জনগনের কাছে তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের উদ্দেশ্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রশিবির স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বের অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে কাজ করছে। আমরা নির্যাতন ও দূর্ণীতি মুক্ত বাংলাদেশ চাই। আমরা মনে করি ন্যায় ভিত্তিক জুলুম ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠন করতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে আল-কুরআন ও রসুল (সাঃ) এর অনুপম আদর্শের দিকে ফিরে যেতে হবে। আজকে যারা ইসলামী আন্দোলনের কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে মাওলানা সাঈদীসহ এদেশের সম্মানীত ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে প্রহসনের টাইবুনালে বিচার করে কলঙ্কিত করতে চায়, সঙ্গত কারণেই আমরা তাদের সাথে একমত পোষণ করিনা। আর তাই এই আন্দোলনের মাধ্যমে একটি গভীর সংকট থেকে এই জাতিকে উদ্ধার করতে চাই। এর মাধ্যমেই ভ্রাতৃত্ব ও ন্যায়ের মহান সৌধের ওপর আল কুরআন ও আল হাদীসের আলোকে এক আদর্শ কল্যাণমুখী বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। আমাদের এ আন্দোলনে আপনাদের সহযোগিতা ও পেশাদারি আচরণ প্রত্যাশা করি। আমরা চাই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী কোন রাজনৈতিক দলের নয় প্রজাতন্ত্রের পুলিশ বাহিনী হিসাবে দায়িত্ব পালন করুক। আমাদের বিশ্বাস সত্যের বিজয় এবং অসত্যের পতন অবশ্যম্ভাবী।